বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করেছে, এতে অন্তত পাঁচজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। এই ঘটনা ঘটে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, যখন আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে, তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবি আদায়ের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তবে, বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তাদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে তারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে এবং তাতেও কাজ না হলে লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত পাঁচজন শিক্ষক আহত হন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, “জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া ৪ হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এসব বিদ্যালয়ে পড়া প্রায় ৮ লাখ শিক্ষার্থী মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলেও সমযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ৪ হাজার বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।
ফিরোজ উদ্দিন জানান, ২০১৫ সাল থেকে তারা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন, এবং ২০১৮, ২০১৯, ২০২৪-এ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়, যার ফলস্বরূপ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ে ইস্যু করা হয়। শিক্ষকরা এখন চিঠিটির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, পুলিশের এ ধরনের আক্রমণের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।